নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- ১০ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জেট সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লায় মারকাজুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ (২২) নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কলসআটি গ্রামের আল মামুনের ছেলে।
ভিকটিম ওই মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
ভিকটিমের পরিবারের বরাতে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষ থেকে ওই ছাত্রকে ডেকে এনে বারান্দায় পর্দা টানিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে বলাৎকার করে শিক্ষক আব্দুল্লাহ। পরে কাউকে কিছু না বলতে হুমকি দেয়।
পরে শুক্রবার সকালে ওই শিশুটি বাড়ি ফিরে তার মা-বাবাকে ঘটনাটি জানালে বিকেলে তার বাবা-মা মাদ্রাসায় গিয়ে মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হারুন অর রশিদকে বিষয়টি জানান। এসময় মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হারুন অর রশিদ স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং শাপলা চত্বরে একটি অফিসে বৈঠকে বসেন।
তবে ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা সেখানে ছুটে গিয়ে বৈঠক পণ্ড করে দেয় এবং শিক্ষককে ধরে এনে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষক আব্দুল্লাহকে আটক করে।
মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হারুন অর রশিদ জানান, ঘটনার বিষয়ে তিনি পূর্বে অবগত ছিলেন না। শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে তিনি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াসিম আকরাম বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ও ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, এক কওমী মাদ্রাসার শিক্ষককে বলাৎকারের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন