নিজস্ব প্রতিবেদকঃ--বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব শুরু হয়েছে।
সোমবার পহেলা বৈশাখ সকাল সাড়ে ১১ টায় ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ইলিয়া সুমনা।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ লোক ও কারুশল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের সম্মানিত সদস্য চন্দ্র শেখর সাহা, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান।
এর আগে সকাল ১১টায় আনন্দ শোভাযাত্রা বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের প্রথম গেট থেকে শুরু হয়ে দ্বিতীয় গেট দিয়ে মেলার মাঠে গিয়ে শেষ হয়। বর্ণিল এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ফাউন্ডেশনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে এর চত্বর। ফাউন্ডেশনের ফটক থেকে উৎসব প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ মোটিফ দিয়ে সাজানো হয়েছে। ফাউন্ডেশনের প্রতিটি সড়কে আঁকা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের আলপনা। এতে ফাউন্ডেশন চত্বরে এক অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই মেলা আজ থেকে চলবে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বৈশাখী মেলা ও জাদুঘরের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের বৈচিত্র্যময় কারুপণ্যের সমাহার রাখা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কারুশিল্পীদের এখানে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উৎসবে জামদানি, শতরঞ্জি, নকশি কাঁথা, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, হাতপাখা, কাঠখোদাইশিল্প, পটচিত্র শিল্প, শোলাশিল্প, বাঁশ-বেতশিল্প এবং ক্ষুদ্র-নৃ গাষ্ঠীর কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কর্মের উপস্থাপন এবং বিপণনের সুযোগ পাচ্ছেন তারা।এছাড়াও উৎসব চলাকালীন প্রতিদিনই থাকছে বাউল গান ও লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া থাকবে পুতুল নাচ, হালখাতা, বায়স্কোপ, সাপের খেলা, নাগরদোলাসহ গ্রামীণ বিনোদনের নানা আয়োজন। থাকছে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলা তিন গুটি, সাত গুটি বাঘবন্দ, কানামাছি, গোল্লাছুট, বউচি ও কপাল টোক্কা। রসনাতৃপ্তির জন্য থাকবে মুখরোচক সব বাঙালি খাবার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন