বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ--বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর ও নারায়ণগঞ্জ ওসমান পরিবারের ঘনিষ্টজন বন্দর উপজেলার বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন বেপরোয়া।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা সহ নারায়নগঞ্জ মডেল থানা ও ফতুল্লা থানায় ভাংচুর সহ একাধিক হত্যা মামলা থাকা সত্বেও অদৃশ্য কারনে গ্রেফতার করতে পারছেনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে বর্তমান অন্তর্রবর্তী কালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিভিন্ন অপকর্ম ফন্দি ফিকির করে যাচ্ছে । গত ৫আগষ্টের পর আওয়ামীপন্থী সকল নেতাকর্মী পালিয়ে গেলেও এহসান উদ্দিন বহাল তবিয়তে।
অবৈধ টাকার জোড়ে বিএনপি'র কিছু নেতাকর্মী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ফলে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজ না করে অর্থ আত্যসাৎ করা সহ একের পর এক দূর্নীতি করে যাছে। তার বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় ইউনিয়নের সাবেক সচিব ইউসুফ ও বর্তমান সচিব শামীম মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। দুদক সূত্রে জানা যায়, মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়াও জালিয়াতির মাধ্যমে একই ব্যক্তির নামে দুটি জন্ম নিবন্ধন আইডি সরবরাহ ও নিবন্ধনের ক্ষেত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানার মামলা নংব-২৬ তারিখ ২৫/৮/২০২৪, আসামির সিরিয়াল নং ৪৮। নারায়নগঞ্জ মডেল থানার মামলা নং-৩ তারিখ ১৭/৮/২৪ইং। ফতুল্লা থানার মামলা নং-১৬ তারিখ ১০/১১/২৪ইং। আসামীর সিরিয়াল নং-৮২ সহ আরো অনেক মামলা আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই জানান, বর্তমানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের আন্দোলন আর মিছিলে গোপনে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করছেন এহসান উদ্দিন চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে এহসান উদ্দিন চেয়ারম্যান বলেন, দূর্নীতির মামলা আমার সচিবরা করেছে। তাদের কারণে আমাকে ফেঁসে যেতে হয়েছে। আমি তাদের বিশ্বাস করেছিলাম তারা আমার সঙ্গে জালিয়াতি করেছে। তিনি আরো বলেন ৫আগষ্টের পরে আমার বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন