Tuesday, October 28, 2025
Google search engine
Homeনারায়ণগঞ্জসোনারগাঁয়ে ভূমি রেজিষ্ট্রেশন ফি কমানোর জন্য রাজস্ব বোর্ডে স্মারকলিপি

সোনারগাঁয়ে ভূমি রেজিষ্ট্রেশন ফি কমানোর জন্য রাজস্ব বোর্ডে স্মারকলিপি


সোনারগাঁ প্রতিনিধি
:-নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ভূমি রেজিষ্ট্রেশন ফি কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে স্মারকলিপি দিয়েছেন এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার গণ স্বাক্ষরে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ভবনাথপুর গ্রামের হাজী শহিদ সরকার জনসাধারণের পক্ষে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপির অনুলিপি নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহা পরিদর্শক, নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার ও সোনারগাঁ উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রারকে দেওয়া হয়েছে।  

স্মারকলিপিতে স্থানীয়রা উল্লেখ করেন, সোনারগাঁ উপজেলার সকল মৌজার ক্ষেত্রে উৎসে কর দলিলে ৩ শতাংশ ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(রাজউক) আওতাধীন অঞ্চলের জন্য উৎস কর ৪ শতাংশ ছিল। যাহা আয়কর আইন, ২০২৩ ও আয়কর বিধিমালা ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই মোতাবেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (আয়কর) প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে সোনারগাঁয়ের জমি রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে উৎসকর শুধুমাত্র রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তালিকায় জমি কাঠা প্রতি ৮শতাংশ অথবা এক লাখ টাকা নির্ধারিত হয়। পরবর্তীতে গত বছরের ৩০নভেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আয়কর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আওতাধীন অঞ্চল সাব কাবলা দলিলের আবাসিক এলাকার ক্ষেত্রে ৮ শতাংশ বা এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা, বানিজ্যিক ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ বা কাঠা প্রতি তিন লাখ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য সকল মৌজার ভূমি ওপর সাব কাবলা দলিলের ক্ষেত্রে পঞ্চাশ হাজার টাকা বরাদ্ধ করে।

স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয় উপজেলার ১২০টি মৌজার মধ্যে অধিকাংশ মৌজায় ভূমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বিক্রয় মূল্যে তিন থেকে চার গুন বেশি কর নির্ধারণ করা হয়। এতে করে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।

স্থানীয়দের দাবি, জমি রেজিষ্ট্রেশন মূল্য না কমানোর ফলে জমি ক্রয় বিক্রয় কমে যায়। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়। ফলে দূরারোগ্য চিকিৎসা, মেয়ের বিয়ে, প্রবাসে যাওয়াসহ আর্থিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা।

সোনারগাঁ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে কর্মরত দলিল লিখক বিল্লাল হোসেন জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন কর নির্ধারনের ফলে দলিল সৃজন কমে যায়। ফলে দাতা ও গ্রহিতার মাঝে সাব কাবলা দলিলে রেজিষ্ট্রেশনে সমস্যার সৃষ্টি হয়। দ্রুত পূর্বের ৩ শতাংশ ও রাজউকের ৪ শতাংশ কর নির্ধারন করলেই এর সমাধান সম্ভব।

সোনারগাঁ উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, স্থানীদের স্বারকলিপির মতামতের সঙ্গে আমিও এক মত পোষক করছি। নতুন কর নির্ধারণে দলিল সৃজন কমে যাওয়ার কারনে সরকারী রাজস্ব কমে গেছে। পূর্বের কর এ জমি রেজিষ্ট্রিশন করতে পারলে দলিল সৃজন ও সরকারী রাজস্ব বাড়বে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার খন্দকার জামীলুর রহমান বলেন, সোনারগাঁ ব্যতিত অন্যান্য উপজেলার নতুন উপ কর নির্ধারণ করে দলিল সৃজন হচ্ছে। সোনারগাঁয়েও নতুন করে উপ কর নির্ধারণ প্রয়োজন। তাহলেই দলিল সৃজন সংখ্যা বাড়বে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments