Thursday, October 30, 2025
Google search engine
Homeঅপরাধনাঃগঞ্জে টনসিল অপারেশনে রোগীর মৃত্যু, পালালো চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষ

নাঃগঞ্জে টনসিল অপারেশনে রোগীর মৃত্যু, পালালো চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষ


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় একটি হাসপাতালে টনসিলের অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় মেহেনাজ আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে
। 

রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে সিলভার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ এসে আবাসিক চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে আটক করে। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি।

এঘটনায় নিহতের স্বজনরা হাসপাতালের ভিতরে বিক্ষোভ করেন,এসময় তারা ম্যানেজারকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করলে চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষরা পালিয়ে যায়। 

জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগেও আল হেরা হাসপাতলে একই সার্জন ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং অজ্ঞান চিকিৎসক আনামের বিরুদ্ধে টনসিলের অপারেশন করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে স্বজনদের দাবি, এ ঘটনায় নিহতের লোকজন অভিযোগ করতে থানায় ঘুরাফেরা করলেও বিকাল পর্যন্ত সার্ভায়ারের সমস্যার অজুহাত জানিয়ে তা নেয়নি পুলিশ। আর পুলিশ বলেছেন, ৫ জনকে থানায় নিয়ে গেলেও তাদের ঘটনাস্থল থেকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। কেউ আটক নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিহতের বাবা আমানত উল্লাহ বলেন, আমার মেয়ের টনসিলের চিকিৎসার জন্য সিলভার ক্রিসেন্ট হসপিটালে ভর্তি করি। ভর্তির পর চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিভিন্ন টেস্ট দেন। 

পরে তিনি টনসিলের অপারেশন করতে হবে বলে জানান এবং অপারেশন করার জন্য ৮০ হাজার টাকা চুক্তি করান। 

শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে আমার মেয়ের অপারেশন করেন তিনি। অপারেশনের পর ডাক্তার মেয়েকে কিছু খাওয়াতে নিষেধ করেন। রাত ৩টার দিকে ব্যথায় কান্নাকাটি করতে থাকলে নার্সদের সঙ্গে কথা বলি। তখন তারা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ইনজেকশন দেয়। ১ ঘণ্টা পর আবার ব্যথা উঠলে আবার ইনজেকশন দেয়।পরে আজ সকালে ৯টার দিকে আমার মেয়ের হাত-পা নীল হয়ে যায় এবং ব্যথায় ছটফট করতে করতে মারা যায়।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন শনিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনের তত্ত্বাবধানে টনসিলের অপারেশনের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয় মেহেনাজ আক্তারকে। অপারেশন শেষে ভোরে তার জ্ঞান ফেরলে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসক তাকে ইনজেকশন পুশ করার পর তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা এসে বিক্ষোভ করেন। পরে মরদেহ রেখে ডাক্তার, নার্স সহ হাসপাতালের সবাই পালিয়ে যায়। চিকিৎসকের অবহেলায়ই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা জানতে পেরেছি এর আগেও এমন একটি ঘটনা তারা ঘটিয়েছেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারে দাবি জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাংবাদিকদের বলেন, ‘৯৯৯ এ কল পেয়ে আমরা এখানে এসেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক, স্টাফসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তবে এ বিষয়ে জানতে জেলা সিভিল সার্জন ও ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments