Wednesday, October 29, 2025
Google search engine
Homeঅপরাধরুপগঞ্জ গাউছিয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অজ্ঞান পার্টি

রুপগঞ্জ গাউছিয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অজ্ঞান পার্টি


রুপগঞ্জ গাউছিয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অজ্ঞান পার্টি 


মোঃ মোয়াশেল ভূঁইয়াঃ-রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ও ভূলতা গাউছিয়ায় ঈদের আগেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অজ্ঞান পার্টিরা। অভিযোগ উঠেছে ভূলতা ফাঁড়ির পুলিশের তৎপরতা না থাকায় দিন দিন অজ্ঞান পার্টির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

প্রতিদিনই এই এলাকায় অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার(১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির ১শ’ গজ দুরে গাউছিয়া মার্কেটের সামনে ফ্লাইওভারের নিচে অজ্ঞান পার্টিরা ফেলে রেখে চলে যায়। 

জানা যায়, রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার বড়বিহানি ইউনিয়নের মুরালিপাড়া এলাকার আব্দুল সালামের ছেলে জুয়েল(২৮) নামে এক ব্যক্তি উপজেলার গাউছিয়া মার্কেট থেকে কাঁপড় কিনে রাজশাহী নিয়ে বিক্রি করে থাকেন। প্রতি সপ্তাহের মতো শুক্রবার ৪০ হাজার টাকা নিয়ে কাঁপড় কিনতে গাউছিয়া আসেন।

পরে অজ্ঞান পার্টিরা তাকে চেতনানাশক খাইয়ে অজ্ঞান করে গাউছিয়া মার্কেটের সামনে ফ্লাইওভারের নিচে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এবং তার কাছে থাকা একটি মোবাইল নাম্বারে কল দিলে তার স্ত্রী জলি ধরেন।পরে তার স্ত্রী জলির সাথে যোগাযোগ করে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এই এলাকায় প্রতিদিনই ঘটছে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা। একটি সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা গাউছিয়া এলাকাটি শিল্পউন্নত জনবহুল একটি এলাকা। এখানে হাজারো মানুষের সমাগম থাকায় অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্যরা অনেকটা বেপরোয়া।

এই অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্যরা বেশিরভাগই গণপরিবহন ও ভাসমান অবস্থায় অপরাধ করে থাকে। মাস্ক, বিস্কুট, চকলেট, খাবার ইত্যাদি বিক্রির আড়ালে কুপোকাত হয় যাত্রীরা। শুধু টাকা-পয়সা বা মূল্যবান জিনিসপত্রই নয়। অজ্ঞানপার্টি চালকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে গাড়িও।

প্রাইভেট কার বা অটোরিকশায় যাত্রীবেশে চড়ে সুবিধামতো নির্জন স্থানে গিয়ে কাজ সারছে। নানা কৌশলে খাবারের নামে যাত্রা বিরতি দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে চেতনানাশক। অথবা চেতনানাশক শুকিয়ে, খাবারের মাধ্যমে খাইয়ে বা চোখে-মুখে মলম লাগিয়ে দিয়ে অচেতন করছে। রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে হাওয়া হচ্ছে।  

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অজ্ঞান পার্টির বেপরোয়া হওয়ার নেপথ্যে তিনটি কারণ রয়েছে। দেখা যায়, অজ্ঞান পার্টির  প্রধান টার্গেট থাকে সাধারণ যাত্রীরা। তারা বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। এদের হাত থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই।

তবে যারা অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তারা ঝামেলা এড়াতে অনেকে মামলা করে না। আবার মামলা বা গ্রেফতার হলেও স্বল্প সাজা ও জামিনে বের হয়ে যায়। এসব  প্রতারণায় আইন কঠোর হওয়া উচিত। তা হলে এ ধরনের অপরাধ অনেকটা কমে যেত। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঝিমিয়ে যাওয়ায় অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়ে গেছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ থাকা দরকার। 

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments