সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বাকি ৪ টিতে গতকাল শুক্রবার সকালে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ইউপিতে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও অবশেষে নানা কারণে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
একটি সুত্র জানায়, ইউপি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গত ২রা নভেম্বর মনোনয়ন জমা ও সংগ্রহের শেষ তারিখ ছিলো। যাচাই-বাছাই ছিলো ৪ই নভেম্বর। যাচাই-বাছাইয়ে অনেক মনোনয়ন প্রার্থী বাতিল হলেও অনেকে বিভিন্ন উপর মহলের চাপে অবশেষে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
সোনারগাঁয়ে ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে সর্বপ্রথম বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হোন পিরোজপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম।
এরপর সনমান্দি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন, তার এলাকায় তিনি ছাড়াও আরো দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ছিলেন। কিন্তু পরে তারা অজ্ঞাত কারনে প্রত্যাহার করে নেন।
সনমান্দি ইউনিয়নের পর একই পথে নির্বাচিত হন কাঁচপুর ও বারদী,কাঁচপুর ইউনিয়ন থেকে নৌকার মনোনীত প্রার্থী চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর ও বারদী ইউনিয়নে নৌকার মনোনীত প্রার্থী লায়ন বাবুল ভুইয়া।
কাঁচপুরে শামীম ওসমান এমপির অনুরোধে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন সাবেক ছাত্রলীগের আহবায়ক মাহবুব খাঁন। অবশেষে বারদী ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন জাতীয়পার্টির মনোনীত প্রার্থী দাইয়ান মেম্বার।তবে দাইয়ান মেম্বার উপর মহলের চাপ ও অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে বলে অভিযোগ উঠে বিভিন্ন মহলে।
বাকি ৪টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে কিনা না আরোও বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হবে তা দেখার অপেক্ষা সোনারগাঁবাসীর।
